করোনা সংক্রমণের জের - জরুরী বিভাগ ছাড়া বন্ধ ব্লক হাসপাতালের অন‍্য সমস্ত বিভাগ

1st August 2020 11:40 am বর্ধমান
করোনা সংক্রমণের জের - জরুরী বিভাগ ছাড়া বন্ধ ব্লক হাসপাতালের অন‍্য সমস্ত বিভাগ


পার্থ ব‍্যানার্জী ( জামালপুর ) : অনির্দিষ্টকালের জন‍্য বন্ধ করে দেওয়া হল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লক হাসপাতালের সমস্ত পরিষেবা । জরুরী বিভাগ ছাড়া সমস্ত বিভাগের পরিষেবা শনিবার থেকে বন্ধ বলে ব্লক প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে । জুলাই মাসের শেষ দিনে জামালপুর ব্লকে ৩৯ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে । তার মধ‍্যে ৯ জন রয়েছেন চিকিৎসা কর্মী । তালিকায় রয়েছেন চিকিৎসক , নার্স ও । ফলে তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হল হাসপাতালের সমস্ত বিভাগ । এই মহামারীর সংকটকালে অনান‍্য রোগের চিকিৎসা কিভাবে হবে তা নিয়েই দুশ্চিন্তা বেড়েছে সকলের । আক্রান্ত ৯ জন চিকিৎসা কর্মীকে আপাতত হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে । নজরদারিতেও রাখা হয়েছে সকলকে । উপসর্গ দেখা দিলেই তৎক্ষনাৎ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে ব্লক স্বাস্থ‍্য আধিকারিক জানিয়েছেন । শনিবার সকালে হাসপাতালের কর্মী সহ অনান‍্যরা আসেন কাজে যোগ দিতে । কিন্তু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত মেনেই হাসপাতালের সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । শুধু জরুরী বিভাগ চালু রেখে আপৎকালীন পরিষেবা প্রদান করবেন চিকিৎসকরা । এর পাশাপাশি হাসপাতাল চত্ত্বরে যে সব কর্মচারী দের আবাসন রয়েছে সেগুলিকে যাতে পুনরায় স‍্যানিটাইজ করা হয় তার দাবী রেখেছেন সকলে । ঘর , ক‍্যাম্পাস সহ গোটা হাসপাতাল স‍্যানিটাইজ করার জন‍্য জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্মীরা । জামালপুর ব্লকে র বহু এলাকার মানুষ নির্ভর করেন ব্লক হাসপাতালের উপর । এখন এই হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সমস‍্যায় সকলেই । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।